সর্বশেষ:

» এবায়দুল করিমের হংকংয়ে অবৈধ কোম্পানিতে ২০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ

এবায়দুল করিমের হংকংয়ে অবৈধ কোম্পানিতে ২০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ

ঢাকা: সরকারের অনুমোদন ছাড়াই হংকংয়ে কোম্পানি খুলেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য বীকন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবাদুল করিম। এর মাধ্যমে ২শ কোটি টাকার বেশি হংকংয়ে নিয়ে যাবার অভিযোগ ওঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অনুমোদন ছাড়া কোন কোম্পানি বিদেশে টাকা নিলেও সেটি, পাচার বলে গণ্য হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী এবায়দুল করিম। তিনি বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। রপ্তানির নামে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সরকারের অনুমতি ছাড়াই ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট হংকং এ বীকন এশিয়া প্যাসিফিক নামে একটি কোম্পানি খোলেন তিনি। সে দেশের শেয়ার বাজারে, তালিকাভুক্তির সনদে কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও নাম আছে মোহাম্মদ এবাদুল করিমের, আর ঠিকানা হংকং এর নাথান রোডের বেল হাউসে।

ওই সময় বিকন এশিয়া প্যাসিফিকের নামে হংকংয়ের এইচএসবিসি ব্যাংকের একটি শাখায় একাউন্ট খোলেন এবায়দুল করিম। ব্যাংক লেনদনের তালিকা পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর এই ১১ মাসে ২৮৮ কোটিরও বেশি টাকা এইচএসবিসি ব্যাংকের ওই শাখায় গেছে বাংলাদেশ থেকে। মূলত হংকং এর প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগের জন্য এই টাকা পাঠানো হয়। এ ছাড়া আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বীকন গ্লোবাল অপারেশন -এফজেডসি নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়। যার লেনদেন চলে দুবাইয়ের মাশরেক ব্যাংকে।

এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে মতিঝিল বিকন হাউজে গেলে প্রায় ১ ঘন্টা অপেক্ষা করার পরও দেখা করেনি কোম্পানির এমডি এবায়দুল করিম, চেয়ারম্যান নুরুন নাহার করিম এবং সিএফও জালাল উদ্দিন। ফোনও ধরেননি এবায়দুল করিম। পরে ফোনে কথা হয় চেয়ারম্যান বিকনের নরুন নাহারের সঙ্গে। তিনি হংকংয়ের কোম্পানি স্থাপন ও টাকা পাঠানোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও, দুবাইয়ে টাকা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেন

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানান, বিদেশে কোম্পানি খোলার ক্ষেত্রে গভর্ণরের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বাছাই কমিটির অনুমতি নিতে হয়। অন্যথায় সেটা অর্থ পাচার বলে গণ্য হবে।

বিদেশে বেআইনীভাবে কোম্পানি খোলা, টাকা পাচার ও নানা অনিয়মএর মাধ্যমে শেয়ার হোল্ডারদের বঞ্চিত করায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবায়দুল করিমের বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা হয়েছে।

সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টিভি

সর্বশেষ সংবাদ