সর্বশেষ:

» রাবারকে কৃষি পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির দাবী

রাবারকে কৃষি পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির দাবী

ঢাকা: রাবার কে কৃষি পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন ওনার্স এসোসিয়েশন। রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানায় রাবার এসোসিয়েশন।

সেসময় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এবং এফবিসিসিআই’র পরিচালক সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন। সংবাদ সম্মেলনটি সভাপতিত্ব করেন সংঠনের সভাপতি মুহাম্মদ হারুন।

সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন , দেশের রাবার শিল্পের সম্প্রসারণ এবং গুণগত মান সম্পন্ন রাবার উৎপাদনের লক্ষ্যে বিদ্যমান সমস্যা নিরসন সহ সরকারের নিকট ১১টি দফা বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন।

এগুলো হলো: ৮০-এর দশকে বরাদ্দকৃত প্লট সমূহের চুক্তির নবায়ন, রাবার চাষীদের স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রদান, বিদেশ হতে উচ্চ ফলনশীল বীজ আমদানি, রাবার কে কৃষি পণ্য ঘোষণা, দেশে উৎপাদিত রাবার পণ্যের উপর ভ্যাট/ট্যাক্স প্রত্যাহার, স্থানীয় রাবার শিল্পের সুরক্ষায় আমদানী পর্যায়ের রাবারের শুল্ক/কর বৃদ্ধি, হেডম্যান রিপোর্টের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করা, অবৈধ দখল বন্ধ করা, জমি হস্তান্তর ও নামজারি ব্যবস্থা করা এবং রাবার রিসার্চ ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

তিনি আরোও বলেন, রাবার বাংলাদেশের সাদা সোনা নামে পরিচিত এবং দেশের বাজারে রাবারের দ্রব্যাদি যেমন: যানবাহনের টায়ার, টিউব, জুতা, সেন্ডেল, হোসপাইপ, ফোম, খেলার সামগ্রী ইত্যাদি সহ শিল্প কারখানায় রাবারের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর অন্যান্য রাবার উৎপাদনকারী দেশ এটিকে কৃষি পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও আমাদের দেশে এখনও তা বাস্তবায়িত হয়নি, যার ফলে এখাতের উদ্যোক্তাবৃন্দ সরকার প্রদত্ত কৃষি বিষয়ক সকল প্রণোদনা সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এখাতের বিকাশে রাবারকে কৃষি পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবী করে সংগঠনটি, সেই সাথে খাতটির বিকাশে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও আর্থিক প্রণোদনার আহŸান জানান।

তিনি উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য চট্রগ্রামে বেশ কয়েকটি বাগানের উপর ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডবের কারণে রাবার শিল্প ধ্বংসের মুখোমুখি হচ্ছে, এ বিষয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি ও সার্বিক সহায়তার আহŸান জানান। বিশেষ করে লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ এর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ হতে উদ্যোগ গ্রহণের উদ্ধার্থ আহŸান জানিয়ে বলেন, বিশেষ করে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের যোগসাজোসে স্থানীয় লোকজন এ শিল্পের অগ্রযাত্রা ব্যহত করতে নানামুখী অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কে অন্যতম হাতিয়ার বিশেষ ব্যবহার করছে, যা মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসনের আশু পদক্ষেপ অপরিহার্য।

মোয়াজ্জম বলেন, ৬০-এর দশকে আমদানীকৃত বীজের চারা থেকে বর্তমানে আমাদের উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, তবে এ ধরনের বীজ ফলন ক্ষমতা কম থাকায় আমাদের উদ্যোক্তাবৃন্দ আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে, এমতাবস্থায় অন্যান্য দেশ হতে উচ্চ ফলনশীল বীজ আমদানিতে বিশেষ করে কৃষি মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন।

এখাতের উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ প্রদানের নিশ্চয়তার পাশাপাশি বর্তমানে আরোপিত শুল্ক ২৫% হতে হ্রাসকরণ এবং একই সাথে স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় আমদানিকৃত রাবারের উপর শুল্ক হার বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন সংগঠনের এই নেতা।

সংবাদ সম্মেলনটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন ওনার্স এসোসিয়েশনের মহাসচিব মোঃ মনসুর আলম, সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাবেক সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের সদস্য মোঃ সলিমুল হক চৌধুরী প্রমুখ সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।