সর্বশেষ:

» ২০ রোজার মধ্যে প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস চালকদের বেতন ও ঈদ বোনাস দেয়ার দাবী 

২০ রোজার মধ্যে প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস চালকদের বেতন ও ঈদ বোনাস দেয়ার দাবী 

ঢাকা: প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস চালকসহ সকল হালকা যানাবহন চালক-শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও উৎসব বোনাস ২০ রোজার মধ্যে পরিশোধ, মজুরি পুনর্নির্ধারণ, বেআইনি ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধ এবং গাড়িচালকদের শ্রমাধিকারের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবিতে “ঢাকা জেলা ট্যাক্সি, ট্যাক্সি কার, অটোটেম্পু, অটোরিক্সা চালক শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং: ঢাক-২২৮০)” আজ ২২ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচী পালন করে।

‘ঢাকা জেলা ট্যাক্সি, ট্যাক্সি কার, অটোটেম্পু, অটোরিক্সা চালক শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং: ঢাক-২২৮০) এর সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু এর সভাপতিত্বে এবং সধারণ সম্পাদক আহাসান হাবিব বুলবুল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কার্যকরী সভাপতি বিরেশ চন্দ্র দাশ, সহ-সভাপতি আলমগির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল মিয়া, কোষাধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান সবুজ, সহ-প্রচার সম্পাদক দুলাল হাওলাদার, ক্রিড়া সম্পাদক মোহাম্মদ শফিক প্রমুখ। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম প্রধান অংশিদার ব্যাক্তিগত গাড়ীর চালকদের শ্রম আইনের সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। যার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর মালিক সাব্যবস্তুর কাজ করানোর পরে উৎসবের আগে নাম মাত্র বকশিশ দিয়ে অথবা যে কোনো অজুহাতে চাকরিছাত করে গাড়ী চালকদের উৎসব বোনাস থেকে বঞ্চিত করে। একই মালিকের অধিনে বছরের পর বছর চাকরি করেও চাকরির অবসানে কোনো ক্ষতিপুরণ পাওয়া যায়না বরং আধিকারের কথা বললে চাকরিচ্যুতির পাশাপাশি নিপিড়নের শিকার হতে হয়। চাকরিতে মালিকরা নিয়োগপত্র দেয়না অথচ নিয়োগপত্র না থাকার অজুহাতে শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিল থেকে বঞ্চিত করা হয়। সরকার একদিকে উন্নয়ন, অপরদিকে নিরাপদ সড়কের কথা বলে যা ১০ লক্ষাধিক ব্যাক্তিগত গাড়ীর চালাকের কাছে প্রতারণামূলক বক্তব্য হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে। দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের পরিবর্তে অবনমনের ধারায় তাদের জীবনে প্রতিফলিত হচ্ছে আর গাড়ীচালকদের দুঃচিন্তামুক্ত জীবন নিশ্চিত করা ছাড়া নিরাপদ সড়কের ভাবনা কল্পনা বিলাশ ছাড়া আর কিছুই না। নেতৃবৃন্দ, ২০ রোজার মধ্যে বকেয়া বেতন-পূর্ণ উৎসব বোনাস পরিশোধ, ন্যূনতম মজুরি পুণঃনির্ধারণসহ ব্যক্তিগত গাড়ীচালকসহ সকল হালকা যানবাহন চালকদের শ্রমাধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

নেতৃবৃন্দ, শ্রম আইনের চলতি সংশোধনিতে প্রাইভেট গাড়ীচালক এবং গৃহ শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ীর চালকরা সড়ক পরিবহন আইন এবং শ্রম আইন এই দুটি আইন দ্বারা শাসিত হচ্ছে। কিন্তু সুরক্ষা পাচ্ছেনা। নেতৃবৃন্দ প্রশ্ন রাখেন যে আইন সুরক্ষা দেয়না, সেই আইনের শাসন করার নৈতিক অধিকার তাকে কি? নেতৃবৃন্দ অঙ্গিকার করেন শ্রম আইনে গণতান্ত্রিক পরিবর্তন এবং সকল ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসটা অব্যাহত থাকবে।